২ দিন এ খৈয়াছড়া+রুপসি ঝর্ণা+চন্দ্রনাথ পাহাড়+ সুপ্তধারা ঝর্ণা(ইকো পার্ক)+ কুমিরাঘাট টুর সম্পুর্ন করলাম। - Bangladesh Travelar

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, May 29, 2018

২ দিন এ খৈয়াছড়া+রুপসি ঝর্ণা+চন্দ্রনাথ পাহাড়+ সুপ্তধারা ঝর্ণা(ইকো পার্ক)+ কুমিরাঘাট টুর সম্পুর্ন করলাম।

২ দিন এ খৈয়াছড়া+রুপসি ঝর্ণা+চন্দ্রনাথ পাহাড়+ সুপ্তধারা ঝর্ণা(ইকো পার্ক)+ কুমিরাঘাট টুর সম্পুর্ন করলাম।


আমাদের খরচ হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ-সিতাকুন্ড-নারায়ণগঞ্জ জনপ্রতি ১৫৫০ টাকা। আমরা যথেষ্ট খরচ করেছি তারপরও এই বাজেট লাগছে। আমার ধারনা একটু মাথা খাটিয়ে খরচ করলেই এই বাজেটে ঘুরে আসতে পারবেন।
ঈদের আগে অনেক জায়গায় জাওয়ার প্লান থাকলেও ঈদের পরে সিতাকুন্ড ছাড়া অন্য কোথাও জেতে ইচ্ছা করে নি। তাই ৪ বন্ধু মিলে রওনা দিলাম সিতাকুন্ডের উদ্দ্যেশ্যে। নারায়ণগঞ্জ থেকে ৮ টার দিকে রওনা দিয়ে কমলাপুর পৌছাই ৯.২০ এ। ভাড়া ৪১ টাকা জনপ্রতি।
ষ্টেশন থেকে টিকিট কাটি ৯০ টাকা করে। তখন চট্টগ্রাম মেইল ট্রেন চলে আসছে। একটা লোকাল বগির সামনে দেখি পুলিশ দারানো, তাদেরকে কিছু বকশিস দিয়ে ঢুকে পরলাম ট্রেন এ। তারা আমমাদের ৪ টা ছিট ও দিয়ে দিল। 😜
আমাদের যাত্রা শুরু হল, সারারাত কাটিয়ে সকাল ৭.২০ এ পৌছাই সিতাকুন্ড ষ্টেশন এ। নেমেই ষ্টেশন এর পাসে একটা হোটেল এ নাস্তা করি। রুটি, ডাল, ডিম, চা (৫০ টাকা জনপ্রতি)। এরপর ১০ মিনিট হেটে চলে যাই সিতাকুন্ড বাজার এ। হোটেল সাইমুন এ ৪ জন এর জন্য একটা রুম ভারা করি (হোটেল সাইমুন এর জন্য নিচে কিছু কথা লিখব)। হোটেল ভাড়া পরেছে জনপ্রতি ১২০ টাকা।
১. খৈয়াছড়া ঝর্ণা: হোটেল থেকে বের হয়ে স্যলাইন+পানি কিনে রওনা দিলাম খৈয়াছড়ার উদ্দ্যেশ্যে। মেইন রাস্তা থেকে একটা বাস এ উঠলাম। বড়তাকিয়া নামিয়ে দিল, ভাড়া ১৫ টাকা। বড়তাকিয়া নেমে সি.এন.জি তে করে খৈয়াছড়া স্টান পর্যন্ত গেলাম, আমরা ৪ জন থাকায় ভাড়া পরেছে ২৫ টাকা করে। এরপর আমাদের হাটা শুরু। যাওয়ার পথে একটা হোটেল এ জুতা রেখে গেছিলাম, তাদের থেকে একটা করে বাশও নিয়ে গিয়েছিলাম। তাদের ব্যবহার অত্যন্ত ভাল। নিচে দোকানের ঠিকানা দিয়ে দিব। খৈয়াছড়ার সৌন্দর্য নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। পিচ্ছিল রাস্তা পার হয়ে, জোকের কামর খেয়ে, কয়েক বার আছাড় খেয়ে অনেক কষ্টে পৌছেছিলাম খৈয়াছড়ার শেষ ধাপে। ৫ম ষ্টেপ এ থাকাকালীন ই বৃষ্টি হয়েছিল। জাই হোক ১ টার মদ্ধ্যেই নেমে আসলাম। ফিরার সময় জুতা রাখার অঈ দোকানে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম, (আলু ভর্তা, মুরগি, ডাল, ভাত, সালাত) জনপ্রতি ৮০ টাকা। এবার ষ্টান থেকে সি.এন.জি নিয়ে চলে আসসলাম মেইন রাস্তায়। ভাড়া ২০ টাকা করে।
২. রুপসি ঝর্ণা:
বড়তাকিয়া থেকে লেগুনা তে বড়দারোগা হাট আসলাম ভাড়া ১৫ টাকা। বড়দারোগাহাটের পাস দিয়ে একটা রাস্তা গেছে রুপসি ঝর্ণার দিকে। লেগুনা ড্রাইভারকে বলে রাখলে অই রাস্তার সামনেই নামিয়ে দিবে। তারপর ১ঘন্টার কিছুটা কম সময় লাগবে রুপসি ঝর্ণা পৌছাতে। রুপসি ঝর্ণারর উপরে উঠে কিছুটা পথ গেছিলাম, সন্ধ্যা নেমে আসায় অখান থেকে ফিরে আসি। তারপর ওই রাস্তায় ১ ঘন্টার মত হেটে মেইন রাস্তায় আসি। মেইন রাস্তা থেকে লেগুনায় সিতাকুন্ড বাজার ভাড়া ১৫ টাকা।
বাজারে নেমে রুম এ গিয়ে ফ্রেশ হই। হালকা বিশ্রাম নিয়ে বের হই রাতের খাবারের জন্য। রাতের খাবার (ভাত, মুরগি, ডাল) ৮০ টাকা জনপ্রতি।
৩. চন্দ্রনাথ পাহাড়:
খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেই রওনা দেই চন্দ্রনাথ পাহাড় এর উদ্দেশ্যে। সি.এন.জি নেই বাজার থেকেই। আমাদের গেইটা এর সামনে নামিয়ে দেয়। ভাড়া ১০ টাকা। এরপর আমাদের কঠিন যাত্রা শুরু হয়। কিছু বিস্কিট, স্যলাইন, পপানি সাথে নিয়ে গেছিলাম। অনেকের ধারনামতে ১৬০০ সিরি বেয়ে উঠতে হয় পাহাড়ের চুরায়। অনেকবার বিশ্রাম নিয়ে উঠলাম আমরা। রিতিমত শরিরের সব শক্তি শেষ হয়ে গেছিল। অনেক্ষন বিস্রাম নিয়ে আবার নামা সুরু করলাম। গেইট এ নেমে সিতাকুন্ড বাজারের ইজি বাইক নিলাম ভাড়া ২০ টাকা।
৪. সহস্রধারা ঝর্ণা ও সুপ্তধারা ঝর্ণা:
বাজার থেকে লেগুনায় নামিয়ে দেয় ইকো পার্ক এরর রাস্তার সামনে ভাড়া ১৫ টাকা। মেইন রাস্তা থেকে ইকো পার্ক এর গেইট পর্যন্ত সি.এন.জি তে জাই ভাড়া ১৫ টাকা করে। ইকো পার্কের গেইট এরর সামনে একটা রেষ্টুরেন্ট এ সকালের খাবার খাই চিকেন খিচুর ৭০ টাকা প্লেট। এবার ইকো পার্কের গেইট থেকে টিকিট কেটে ঢুকে পরি পার্কের মদ্ধ্যে। টিকিট ৩০ টাকা। গেইট থেকে আবার সি.এন.জি নেই সুপ্তধারা পর্যন্ত ভাড়া ৫০ টাকা জনপ্রতি। এবার ৪৫৩ শিরি বেয়ে নিচে নামলাম প্রায় ২৩০০ ফুট নিচে। ফিরে আসার সময় হেটেই ইকো পার্ক এর গেইট পর্যন্ত আসি, গেইট থেকে মেইন রাস্তা সি.এন.জি ১৫ টাকা করে। অখনা থেকে লেগুনায় সিতাকুন্ড বাজার ১৫ টাকা।
বাজারে নেমে হোটেল এ ঢুকে সব রেডি করে আমরা ৩ টার দিকে রুম ছেরে দেই।
৫. কুমিরা ঘাট:
সিতাকুন্ড বাজার থেকে মেইন রাস্তায় গিয়ে লেগুনায় চলে যাই কুমিরা ষ্টান এ। ভাড়া ২০ টাকা। ষ্টান থেকে কুমিরা ঘাট পর্যন্ত সি.এন.জি বা ইজি বাইক ভাড়া ১০ টাকা। কুমিরা ঘাটে থ্রি ষ্টার হোটেল এ দুপুরের খাবার খেলাম। ভাত, মুরগি, ভর্তা, ডাল,। খরচ ৯৫ টাকা করে। এরপর কুমিরা ঘাট এ বিকালের সময় টা কাটিয়ে আমরা রওনা দেই ফেরার উদ্দ্যেশ্যে। ঘাট থেকে কুমিরা ষ্টান ১০ টাকা ভাড়া। ষ্টান থেকে সিতাকুন্ড লেগুনা ভাড়া ২০ টাকা। সিতাকুন্ড থেকে মহিপাল বাস ভাড়া ৪০ টকা (মুলত ৭০ টাকা ভাড়া যাত্রি বেসি না থাকায় ৪০ এই রাজি হয়) মহিপাল থেকে ঢাকার বাস এ উঠলাম ভাড়া ১৮৫ টাকা রাখছে জননপ্রতি।
বাস ব্রেক এ হোট তাজমহল থেকে রাতের খাবারও খেয়ে নিলাম খরচ ৯০ টাকা করে।
>>>কিছু শতর্কমূলক তথ্যঃ
★ হোটেল সাইমুন এর পরিবেস খুব ই খারাপ। আমি রুম না দেখেই এডভান্স দেয়ায় পরে আর কিছুই করার ছিল নাহ। পাসে আর একটি হোটেল আছে সন্দীপ হোটেল। এটার পরিবেস মোটামুটি ভাল। আমি সাজেস্ট করব সন্দীপ হোটেল। রুম নেয়ার আগে অবশ্যই ভাল ভাবে দেখে নিবেন।
★খৈয়াছড়ায় রেস্টুরেন্ট:
বিসমিল্লাহ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট
মোবা: 01823940003
( মো: মিয়া চান)
ওনার ব্যবহার ভাল লাগছিল তাই ঠিকানা দিয়েয়ে দিলাম। এটা ছাড়াও অনেক হোটেল আছে। আপনার পছন্দমত যেকোন টায় খেতে পারেন।
★ সিতাকুন্ডের সবগুলো ট্রেইল ই মোটামুটি কষ্টকর, এর জন্য অনেক এনার্জির দরকার হবে। তাই খাবার স্যালাইন বা গ্লুকোজ ও পানি সাথে রাখবেন।
★ সন্ধ্যার পরে সিতাকুন্ডের কোন ভ্রমন স্থানই বিশেষ করে সি বিচ গুলো নিরাপদ নয়। তাই সন্ধ্যার ঘুরতে বের হলে ভেবে বের হবেন
★ যেখানে জান না কেনো পরিবেস ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকবেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here