এইখানে সিলেট ট্যুর সম্পর্কিত তথ্য দেয়া হল।
১ম দিন: ৪ তারিখ রাত ৯:৫০ এ উপবন এক্সপ্রেস নামক ট্রেন এ রউনা দেই সিলেট এর উদ্দেশ্যে। ট্রেনের ভাড়া শোভন- ২৬৫/- শোভন চেয়ার- ৩২০। কেবিন ৬৪০/- পার পারসন। বাস এ গেলে ৪৭০/- টাকা। এছাড়া বিমান ভাড়া ২০০০/- থেকে শুরু।
২য় দিন: সকাল ৫:৩০ এর দিকে সিলেট স্টেশন এ নামি, সেখান থেকে একটি সি.এন.জি. নিয়ে দরগাহ গেট আসি। ভাড়া ২০০/- (রিসার্ভ)। সেখান থেকে একটি হোটেল দেখে শুনে ভাড়া করে নিবেন। ভাড়া ৬০০ থেকে শুরু (চার জন)।ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে একটি সি.এন.জি / লেগুনা ভাড়া করে নেন। ৫ জন / এর কম হলে সি এন জি (ভাড়া ৩০০০/৩২০০ ২ দিন এর জন্য) । আর১২/১৩ অথবা এর একটু কম হলে লেগুনা ভাড়া করে নিবেন ভাড়া (৫৬০০-৬০০০) ২ দিন। বলে নিবেন কোথায় কোথায় যাবেন। আমরা যাকে নিয়েছিলাম -01717189302 (জগলু মিয়া) লেগুনা। অসাধারণ একজন মানুষ। এর পর চললাম জাফলং এর পথে। যাবার পথে হরিপুর গ্যাস ফিল্ড দেখে গেলাম। সেখানে পাহাড়ের গায়ে আগুন দেখা যায় সাড়া বছর। এর পর তামাবিল স্থলবন্দর এ। সেখান এ কিছুক্ষন থেকে যাফলং। জাফলং এ নামলেই কিছু গাইড দেখতে পাবেন। তাদের কথা না শুনে নিজে গিয়ে ১০ টাকায় পিয়াইন নদী পাড় হউন। সেখান থেকে হেটে সংগ্রামপুঞ্জি ঝরনা দেখতে যান।সেখান থেকে সংগ্রাম পুঞ্জি গ্রাম এ যেতে পারেন।এটি একটি খাসিয়া পাড়া। এখানে খাসিয়া বাড়িঘর, চা বাগান, কমলা গাছ, পান এর বরজ ইত্যাদি দেখতে পাবেন। যে দেখতে একটি সি এন জি ভাড়া করতে হবে। ভাড়া ৪০০/- প্রতি সি এন জি। সব দেখে আবার এসে পরুন যেখানে গাড়ি থেকে নেমেছেন। সেখানে অনেক হোটেল আছে। একটায় ঢুকে খেয়ে নেন।১০০/১২০ এর মধ্যেই হয়ে যাবে। এর পর চলে যান লালাখাল এ। একটি ট্রলার নিয়ে নেন। ভাড়া ১৪০০/১৫০০ পরবে। আর যদি নদীর কাছাকাছি থেকে নিলে ৬০০/৭০০। অসাধারণ স্বচ্ছ পানির এক লীলা খেলা। ভিডিও নিচে আছে। ৪ জন গেলেও এই ভাড়া ১৫ জন গেলেও এই ভাড়া। এর পর এসে পরেন সিলেট শহরে। রাত এ পাচ ভাই/ পানসী তে রাতের খাবার খেয়ে নিন। এতো উন্নত খাবার এতো কম দামে সম্ভব নয়। রাত এ শাহজালাল মাজার ঘুরতে পারেন। আর পরের দিনের ঢাকায় আসার টিকেট কেটে নিন। ভাড়া ৪৭০/- বাস এ। শুধু আল মোবারাকা বাস এ ৩৫০/-.
৩য় দিন: সকালে এবার তাড়াতাড়ি উঠে হোটেল থেকে চেক আউট হয়ে নিন। আগের দিন মাজার না ঘুরে থাকলে ঘুরে চলে যান শাহ পরাণ মাজারে। রিসার্ভ গাড়ি তো আছেই। সেখান থেকে সরাসরি বিসানাকান্দি যান। গাড়ি যেখানে নামিয়ে দিবে সেখান এ আপনি বিভিন্ন ট্রলার দেখতে পাবেন। সেখান থেকে না নিয়ে ব্রীজ টা পার হয়ে ওই পারেগিয়ে নিতে পারেন। এতে ভাড়া অনেক সেভ হবে। এ ক্ষেত্রে ভাড়া পরবে ১৬০০/-। ১৩/১৫ জন যাওয়া যায়। ০১৭৪৭৪৬০০৮৩-ফারুক। কথা বলে যেতে পারেন। সেখান থেকে যেতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টার মত। অসাধারণ সুন্দর যায়গা। সেখানে বিভিন্ন দোকান দেখতে পাবেন যেখানে ভারত এর বিভিন্ন প্রসাধনী & চকোলেট কম দামে পাওয়া যায়। সেখানে ৪ দিন পর পর বর্ডার হাট বসে। যা ভারত এর সীমান্তে হয়। এবং আপনি গিয়ে অনেক কিছুই কিনতে পারবেন কম মুল্যে। সেখানে না খেয়ে এসে পরুন যেখানে ট্রলার ভাড়া করেছিলেন দুপুরের খাবার এখানে খেয়ে চলে যান পান্থুমাই এর পথে। সেখানে বোট ভাড়া করে ঘুরে আসুন। এরপর রাতার গুল সোয়াম্প ফরেস্টে যান। সেখানে এক বোট এ ৫ জন ভাড়া - ৭৫০/- তবে কিছু কমানো সম্ভব। ওয়াচ টাওয়ার সহ বিভিন্ন যায়গা ঘুরুন। যদিও এখন বেশি পানি নেই। ভাল লাগবে যায়গাটা। সেখানে ঘুরে চলে আসুন শহরে। কীন ব্রীজ আর আলী আমজাদের ঘড়ি দেখে নিন। এর পর বাসের কাউন্টার এ চলে যান।
পরদিন সকালে ঢাকায় এসে যাবেন।
পরদিন সকালে ঢাকায় এসে যাবেন।
খরচ- আমরা ১০ জন ছিলাম এবং জন প্রতি ২৭০০/- এর মত খরচ হয়েছে।
যা যা মাথায় রাখবেন-
*সিলেটে প্রচুর বৃষ্টি হয়, তাই রেইনকোট / ছাতা সাথে রাখবেন।
*সাথে পলিথিন নিবেন।
* যেকোনো ডিল করার ক্ষেত্রে কথা পরিষ্কার করে বলুন।
* দালাল পরিহার করে চলুন।
* পানিতে সাবধান থাকবেন। সাতার না জানলে নামবেন না।
*সিলেটে প্রচুর বৃষ্টি হয়, তাই রেইনকোট / ছাতা সাথে রাখবেন।
*সাথে পলিথিন নিবেন।
* যেকোনো ডিল করার ক্ষেত্রে কথা পরিষ্কার করে বলুন।
* দালাল পরিহার করে চলুন।
* পানিতে সাবধান থাকবেন। সাতার না জানলে নামবেন না।
বি.দ্র.: ভ্রমণ এর ক্ষেত্রে দেশের কথা চিন্তা করবেন। নোংরা করবেন না। বর্ডার এ গিয়ে বাংলায় কথা বলুন। ভারতীয় রা বাংলা না বুঝলে ইংরেজি ব্যবহার করুন। হিন্দীর পারদর্শিতা দেখানোর দরকার নেই। পরিষ্কার রাখুন সকল যায়গা। পলিথিন/প্লাস্টিক কোথাও ফেলবেন না।
No comments:
Post a Comment